what is the sub marine cable । কিভাবে সাব মেরিন ক্যাবল কাজ করে ?
আজকের আধুনিক এই বিশ্বে প্রায় সকলেই সাবমেরিন ক্যাবল নামটি শুনে থাকবে।
বলা হয় এই সাবমেরিন কেবল এর মাধ্যমে তথ্যভান্ডার এই জগৎকে আমরা হাতের মোঠেয় নিয়ে এসেছি।
সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেম, এমন ধরনের সিস্টেম যা সমুদ্রের নিচ দিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে ৷ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি ভূখণ্ডে সীমাবদ্ধ না থেকে মহাদেশ থেকে মহাদেশে যোগাযোগের জন্য সমুদ্রের নিচ দিয়ে তারের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হয়।সাগরতলে বিস্তৃত অত্যান্ত দ্রুতগতিসমপন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থাকেই মুলত আমরা সাবমেরিন ক্যাবল বলে থাকি।
গভীরতার সাথে তুলনা করতে গিয়েই সাবমেরিনের সাথে মিল রেখে নাম দেয়া হয়েছে সাবমেরিন ক্যাবল।
আমরা এখন জানবো ইনটারনেট এবং সাবমেরিন ক্যাবল পরস্পরের সাথে কিভাবে সম্পৃক্ত।
===
আন্তর্জাল বা ইন্টারনেট হল সারা পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত, পরস্পরের সাথে সংযুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টি যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং যেখানে আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল নামের এক প্রামাণ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদান করা হয়।
এখন যদি আপনাকে কেউ প্রশ্ন করে ইনটারনেট কিভাবে ব্যবহার করা হয় বা ইনটারনেট কিভাবে কাজ করে?
অনেকেই না জেনে উত্তরে বলবেন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে।শোনে অবাক হবেন যে ইনটারনেট এর ৯৯℅ কাজ করে অপটিকেল ফাইবার এর মাধ্যমে এবং বাকি ১% কাজ করে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে।
আগে তথ্য পাঠানোর জন্য তামার তারের মধ্যে ইলেকট্রিক সিগন্যাল পাঠানো হতো।কিন্তু ইলেক্ট্রিক সিগন্যাল থেকে আলো দিয়ে অনেক বেশি তথ্য পাঠানো সম্ভব হয়েছে।এই আলো মুলত ল্যাসার লাইট।এই ল্যাসার লাইট-ই থাকে অপটিকেল ফাইবারের ভেতরে।
আমরা ইনটারনেট ব্যবহার করে যে তথ্যগুলো মুহূর্তেই পেয়ে থাকি তা সব-ই এই সাবমেরিন ক্যাবল এর অবদান বলা হয়।
কিন্তু আপনার ফোন কিংবা ল্যাপ্টপ এর সাথে তো সরাসরি কোনো ফাইবার যুক্ত নাই তাহলে অপটিকেল ফাইবার দিয়ে কিভাবে আমরা ইনটারনেট ব্যবহার করছি?
প্রিয় ভিউর্স, আমরা সরাসরি অপটিকেল ফাইবার এর সাথে সংযুক্ত না থাকলে ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।আমাদের সিম কোম্পনির টাওয়ারের মাধ্যমে আমরা মুলত এই সাবমেরিন ক্যাবল এর সাথে যুক্ত রয়েছি।
এ ক্ষেত্রে আমরা তারবিহীন ভাবে সিম কোম্পানির টাওয়ারের সাথে যুক্ত।আর এই টাওয়ার কিন্তু তলদেশের মাধ্যমে সাবমেরিন ক্যাবল এর সাথে যুক্ত রয়েছে।
বাংলাদেশে ২ টি সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশন রয়েছে।
বিএসসিসিএল একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে ২০০৮ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আত্নপ্রকাশ করে। বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানী লিমিটেড সি-মি-উই ৪ এবং সি-মি-উই ৫ নামক দুটি আন্তর্জাতিক সাবমেরিন কেবল কনসোর্টিয়ামের সদস্য। যেটি বাংলাদেশে সাবমেরিন কেবলসের অধিক ক্ষমতা ও পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করে। বর্তমানে সি-মি-উই ৪ এবং সি-মি-উই ৫ কেবলদ্বয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইন্টারনেট এবং আন্তর্জাতিক ভয়েস ট্র্যাফিক চলছে। সি-মি-উই ৪ এর জন্য বিএসসিসিএল-এর কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন রয়েছে কক্সবাজারে। সি-মি-উই ৫ এর জন্য বিএসসিসিএল-এর ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হয়েছে কুয়াকাটাতে।
সাবমেরিন ক্যাবল সমুদ্রের গভিরে স্থাপন করে নিয়ে যাওয়া হয়।তাই এটিকে অনেকটা শক্তিশালি,চাপ সহনশীল করে বানানল হয়ে থাকে।এর উপরে থাকে কয়েকস্তরের আবরন।যেমন- পলিএথোলিন( বিশেষ ধরনের রাবার,কপার,এলুমিনিয়াম ইত্যাদি।
সাবমেরিন ক্যাবল ৩ টি ধাপে কাজ করে থাকে।এগুলোকে Tier বলা হয়।
এগুলো হলো
Tier 1
Tier 2
Tier 3
Tier 1 হচ্ছে সেই সকল কম্পানি যারা সমুদ্র তলে তাদের নিজস্ব খরচে সাবমেরিন ক্যাবল বিছিয়ে রাখে। যার মাধ্যমে তারা লোকাল কোন দেশের কোম্পানির কাছে ইন্টারনেট প্রদান করে। আমাদের দেশের এমন একটি Tier 1 কোম্পানি হচ্ছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কম্পনানি লিমিটেড।
টিয়ার ২ হচ্ছে লোকাল সিম কার্ড কম্পানি অথবা বিভিন্ন বড় বড় ইন্টারনেট পাবলিশার। এবং সর্বশেষ টিয়ার ৩ হচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চলের লোকাল ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার।
এই বিষয়ে ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন https://www.youtube.com/basicknowledgebangla